সন্তানের জন্য বাবা-মায়ের দেওয়া প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ উপহার হলো একটি সুন্দর ও অর্থবহ নাম। ইসলামে সুন্দর নামকরণের গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এই নামটিই তার পরিচয়ের প্রথম ভিত্তি এবং সারাজীবনের সঙ্গী।
আপনাদের এই পবিত্র দায়িত্ব পালনে সাহায্য করতে এবং হাজারো নামের ভিড় থেকে সেরা নামটি খুঁজে দেওয়ার লক্ষ্যে, আমরা “য” অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া কিছু (নির্বাচিত) মেয়েদের ইসলামিক নামের অর্থসহ একটি তালিকা তৈরি করেছি। তাহলে চলুন, আপনার সোনামণির জন্য সেরা নামটি খুঁজে নেওয়া যাক।
য দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নামের তালিকা অর্থসহ
#1) যেবা শাহানা — নামের অর্থ হলোঃ সুন্দরী রাজকুমারী।
#2) যায়েদা — নামের অর্থ হলোঃ অতিরিক্ত।
#3) যেবা আতিকা — নামের অর্থ হলোঃ যথার্থ স্বাধীনা।
#4) যারীন আনজুম — নামের অর্থ হলোঃ সোনালী তাঁরা।
#5) যাহরা — নামের অর্থ হলোঃ রূপবতী, ফুটন্ত ফুল।
#6) যুহরা — নামের অর্থ হলোঃ তারকার নাম।
#7) যারীন আসিয়া — নামের অর্থ হলোঃ সোনালী স্তম্ভ।
#8) যারীন তাসনিম — নামের অর্থ হলোঃ সোনালী বেহেশতী ঝর্ণা।
#9) যরিনা (জরিনা) — নামের অর্থ হলোঃ গোলাপী রংয়ের কারু কাজকৃত।
#10) যারীন গাওহার — নামের অর্থ হলোঃ সোনালী মুক্তা।
#11) যারীন রায়হানা — নামের অর্থ হলোঃ সোনালী ফুলের মালা।
#12) যাকিয়া তহিরা — নামের অর্থ হলোঃ পুণ্যবতী সতী।
#13) যাকিয়া আনিকা — নামের অর্থ হলোঃ পুণ্যবতী সুন্দরী।
#14) যেবা মাসুমা — নামের অর্থ হলোঃ যথার্থ নিষ্পাপ।
#15) যিয়ান — নামের অর্থ হলোঃ অলংকার।
#16) যকিযাহ ওয়াসীমাত — নামের অর্থ হলোঃ বুদ্ধিমতী সুন্দরি।
#17) যায়িমা — নামের অর্থ হলোঃ নেত্রী।
#18) যেবা মায়মুনা — নামের অর্থ হলোঃ যথার্থ ভাগ্যবতী।
#19) যাহেদা — নামের অর্থ হলোঃ সাধক মহিলা।
#20) যাকিয়াহ — নামের অর্থ হলোঃ তীব্র সুগন্ধী যুক্ত কস্তরী।
#21) যাবীহা — নামের অর্থ হলোঃ উৎসগী কৃত, কোরবানী।
#22) যারিয়াত — নামের অর্থ হলোঃ দমকা বাতাস।
#23) যেবা সামিহা — নামের অর্থ হলোঃ যথার্থ দানশীলা।
#24) যেবা ফাউযিয়াহ — নামের অর্থ হলোঃ যথার্থ সফলতা।
#25) যায়নাব — নামের অর্থ হলোঃ সুগন্ধী যুক্ত মনোরম বৃক্ষবিশেষ।
#26) যীবা (জেবা) — নামের অর্থ হলোঃ যথার্থ।
#27) যুবায়দা — নামের অর্থ হলোঃ খোদাভীরু।
#28) যুলফা — নামের অর্থ হলোঃ বাগান।
#29) যারিয়া — নামের অর্থ হলোঃ মাধ্যম, উপায়।
#30) যাকিয়া হামিমা — নামের অর্থ হলোঃ পুণ্যবতী বান্ধবী, সখী।
#31) যেবা সাজেদা — নামের অর্থ হলোঃ যথার্থ সেজদাকারিণী।
#32) যুলায়খা — নামের অর্থ হলোঃ ইউসূফ (আঃ)-এর পত্নীর নাম।
#33) যায়তুন — নামের অর্থ হলোঃ কোরআনে বর্ণিত একটি ফল।
#34) যোবেদা খাতুন — নামের অর্থ হলোঃ আল্লাহ ভীরু মহিলা।
#35) যেবা হুমাইরা — নামের অর্থ হলোঃ যথার্থ রূপসী।
#36) যাহরা সানিয়া — নামের অর্থ হলোঃ রূপবতী প্রশংসিত।
#37) যারীন আতিয়া — নামের অর্থ হলোঃ সোনালী উপহার।
#38) যমযম — নামের অর্থ হলোঃ কাবার নিকটস্থ ঐতিহাসিক কূপ।
#39) যাকিয়া ইয়াসমিন — নামের অর্থ হলোঃ পুণ্যবতী পুস্প।
#40) যমহারীর — নামের অর্থ হলোঃ শীতর বায়ু স্তর।
#41) যাকিয়া বিলকিস — নামের অর্থ হলোঃ পূর্ণবতী রাণী
#42) যেবা রেজওয়ান — নামের অর্থ হলোঃ যথার্থ সন্তুষ্টি।
#43) যাখীরা — নামের অর্থ হলোঃ সযত্নে রক্ষিত মাল।
#44) যাকিয়া আদিবা — নামের অর্থ হলোঃ পুণ্যবতী শিষ্টাচারী।
#45) যীনাত — নামের অর্থ হলোঃ সৌন্দর্য, শোভা।
#46) যীরাত — নামের অর্থ হলোঃ রেশমী কাপড়ের টুকরো।
#47) যারীন ইয়াসমিন — নামের অর্থ হলোঃ সোনালী হাসনাহেনা।
#48) যাকেরা — নামের অর্থ হলোঃ স্মকারিণী, মেধা।
#49) যাকিয়াহ — নামের অর্থ হলোঃ বুদ্ধিমতী চালাক।
#50) যেবা তাহসিন — নামের অর্থ হলোঃ যথার্থ সুন্দরী।
#51) যাকিয়া — নামের অর্থ হলোঃ পুণ্যবতী।
#52) যারীন সাদাফ — নামের অর্থ হলোঃ সোনালী ঝিনুক।
#53) যারীন সাবাহ — নামের অর্থ হলোঃ সোনালী প্রভাত।
আমাদের মতামত
আপনার সোনামণির জন্য সেরা নামটি বেছে নেওয়ার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। এই টিপসগুলো আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে:
- অর্থ জেনে নাম রাখুন: ইসলামিক নাম রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নামের অর্থ জানা। এমন নাম বেছে নিন যার অর্থ ইতিবাচক, সুন্দর এবং ইসলামের মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। নামের অর্থ শিশুর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে বিশ্বাস করা হয়।
- উচ্চারণ সহজ হতে হবে: এমন নাম নির্বাচন করুন যা উচ্চারণ করা সহজ এবং শ্রুতিমধুর। জটিল বা কঠিন নামের কারণে শিশু ভবিষ্যতে বিড়ম্বনায় পড়তে পারে। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের জন্যও এটি সহজ হবে।
- বড় নাম সংক্ষিপ্ত করুন: যদি নামটি বেশ বড় বা কয়েকটি শব্দে গঠিত হয়, তবে সেটির একটি সুন্দর ও সংক্ষিপ্ত ডাকনাম বা উপনামের কথাও ভেবে রাখতে পারেন। এটি দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা সহজ হবে।
- ট্রেন্ডের চেয়ে অর্থের গুরুত্ব দিন: অনেক সময় নতুন নতুন নামের ট্রেন্ড আসে। ট্রেন্ডি নাম রাখা খারাপ নয়, তবে নিশ্চিত করুন যে নামটি শুধুমাত্র আধুনিক বলে রাখা হচ্ছে না, বরং এর একটি সুন্দর অর্থও আছে।
- বংশীয় ঐতিহ্যের প্রতি খেয়াল রাখুন: যদি আপনার পরিবারে নির্দিষ্ট কোনো নামের ঐতিহ্য থাকে, তবে সেটিকেও বিবেচনা করতে পারেন। এতে পারিবারিক বন্ধন ও ঐতিহ্য রক্ষা পাবে।
- পরামর্শ নিন, কিন্তু সিদ্ধান্ত আপনার: পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব বা অভিজ্ঞ আলেমদের কাছ থেকে নামের বিষয়ে পরামর্শ নিতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আপনার এবং আপনার সঙ্গীর। এটি আপনাদের সন্তানের নাম, তাই আপনাদের পছন্দ সবচেয়ে জরুরি।
- ভবিষ্যতের কথা ভাবুন: শিশু যখন বড় হবে, তখন এই নামেই সে পরিচিত হবে। পেশাগত জীবনে বা সামাজিক পরিসরে নামটি কেমন শোনাবে, সেই বিষয়টাও কিছুটা ভেবে দেখা ভালো।
এই টিপসগুলো আপনাকে আপনার আদরের সন্তানের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এবং অর্থবহ নামটি খুঁজে নিতে সাহায্য করবে।